Wednesday, September 30, 2009

বুঝেও বুঝি না কেন

এখনো বুঝিনি তোমার খেলার ধারা
কোন ফাঁদে যে ফেলবে আমায়
করবে সর্বহারা।

কখনো কখনো এমন হাস
মনে হয় যেন সত্যি বাস
একটু ভাল, হয়তো তুমি
আমার যেমন চাওয়া।
তারপরেতেই নীরবতা
অবজ্ঞা আর অবহেলা
ইচ্ছে করেই সারাদিনের
প্রাপ্তি কর হাওয়া।

কেমন করে এমন কর
অদ্ভুত এই খেলা খেল
আলোয় ভরা আকাশে আন
কাল মেঘের মেলা।
আমারই যে হলো কিবা
সব ফেলে রোজ সন্ধ্যাবেলা
বসে থাকি জমবে কখন
সেই মনোহর খেলা।


যখনই ভাবি একটু কাছে
যাবার বুঝি আশা আছে
তখনই এক বিদঘুটে কি
অতীত গল্প বল।
জাননা তুমি তোমায়
আমি পবিত্রতার আলোয় আঁকি
আঁধার কালের গল্পে তুমি
আমায় কেন জ্বাল?

মন ভেঙ্গে দাও বারেবারে
ডোবাও ভাসাও অন্ধকারে
কি আনন্দ পাও তুমি
এই পূজারীরে অবহেলে?
জানি একদিন সব থামাবে
মথ ওড়াবে পেঁচা নামাবে,
যেদিন আমায় শেষ করবে
শেষ চালটি চেলে।

সব জেনে সব বুঝে আমি
হঠাৎ যেন একটু থামি,
পরক্ষনেই আবার চলি তোমার পানে ছুটে
হায় অদৃশ্য, কি আছে ললাটে!

-------------------------
বুঝেও বুঝি না কেন
বায়েজীদ
ফিলিংগেন, ৩০/০৯/২০০৯ ১৭:৫২

সপ্তাহান্তে চন্দ্রালোকে

সপ্তাহান্তে একবার ছাদে এসো
তোমাকে আমি জোছনা দেখাব।

জানি জোছনা তোমাকে আগের মত টানে না
নির্ঘুম রাত কাটাও তুমি পুরনো স্মৃতি ঘেটে
জানি বিশ্বাস হারিয়ে আজ তুমি নিঃস্বপ্রায়
আমি কি কিছু করতে পারি তোমার জন্যে?

একবার তুমি চন্দ্রালোকে এসো
আমি তোমাকে শেখাব
নিষ্পলক চাঁদের দিকে তাকিয়ে থেকে
কিভাবে জোয়ার আনা যায় নিশ্চল চোখে।
সেই জোয়ারে ডুবাতে পারো কষ্টগুলো
অথবা ভাসাতে পার নতুন স্বপ্নের ভেলা।

সপ্তাহান্তে একবার ছাদে এলে
আমি তোমাকে জোছনা ঠিকই দেখাব।
সেল ফোনটা সাথে এনো প্লিজ তুমি
হয়তো তোমাকে নতুন কিছু শোনাব।

--------------------
সপ্তাহান্তে চন্দ্রালোকে
বায়েজীদ
ফিলিংগেন, ২৯/০৯/২০০৯

Saturday, September 12, 2009

সবুজের মাঝে লাল তোমাকে

পাহাড়ের গা ছোঁয়া একটা সবুজ মাঠের মাঝখানে
লাল শাড়ি পড়া তোমাকে বসিয়ে
চূড়া থেকে একটা ছবি তুলব তোমার।
ফটোশপে ছবির একটা অংশ কেটে নেব,
যেন আমার প্রিয় দেশের পতাকার মত মনে হয়
তোমার ছবিটা।

সেই ছবিটা আমার দেয়ালে টাঙ্গাব বিজয় দিবসের সকালে
এক ঐতিহাসিক বিজয় আনন্দের সাথে যোগ হবে
এক ব্যক্তিগত বিজয়ের গভীরতম আবেগ।
সেই আনন্দে আমি হাসব, সেই আবেগে আমি কাঁদব
যত দূরেই সেদিন তুমি থাক না কেন,
সবচেয়ে কাছে তুমি আছ বলেই সেদিন ভাবব।