অযথাই মনে খারাপ করে বসে থাকি
তুচ্ছ সব ব্যাপার নিয়ে।
সকালে অফিস যাবার পথে এক তরুণী
একটা নোংরা শব্দ শুনিয়েছে। কি করে বুঝাই
তার হাতে আমার হাতের স্পর্শ নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত ছিল।
অফিসে বসে ক্লায়েন্টের একগাদা অভিযোগ শোনা লাগল
অথচ আমার একটুও দোষ ছিল না, পোস্ট অফিস যদি কিছু হারিয়ে ফেলে, সেটার দায় কি আমার উপড় পড়ে?
ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে ভাবি, তোমার কিছু কথায় হয়তো মনটা একটু ভাল হবে। অথচ তুমিও শুনিয়ে গেলে কেবল অভিযোগ আর অভিযোগ। এখন বল, মন খারাপ হলে আর যাওয়ার মত এখটা জায়গাও আমার অবশিষ্ট থাকল?
Friday, November 27, 2009
Wednesday, November 25, 2009
অর্থহীন
কি লিখতে কি যে লিখি নিজেও যানি না
তুমি কিন্তু অন্য কিছু ভেবে বসো না।
অর্থহীন আমার লেখা যত হাবি যাবি কাব্য
পাগল নাকি, আমি কোন নারীর কথা ভাবব?
তুমি কিন্তু অন্য কিছু ভেবে বসো না।
অর্থহীন আমার লেখা যত হাবি যাবি কাব্য
পাগল নাকি, আমি কোন নারীর কথা ভাবব?
১৯
১৯টুকরো তোমার স্নৃতি লাল সাদা এক প্যাকেটে
বহন করি সারাটাক্ষণ নীল জ্যাকেটের পকেটে।
যখনই তোমায় মনে পড়ে
একটা স্মৃতি হাতে করে
লাইটারে দেই চাপ।
গভীর করে বুকে টেনে নেই
হারিয়ে যাওয়া
সুখ পোড়ানো তাপ।
তারপর শুধু ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া
ছাই হয়ে শুধু পড়ে পড়ে যাওয়া
তারপরও তো যায়না মিলিয়ে
কার দেয়া সেই শাপ।
তোমার কথা ভাবাটা কি
আমার কোন পাপ?
বহন করি সারাটাক্ষণ নীল জ্যাকেটের পকেটে।
যখনই তোমায় মনে পড়ে
একটা স্মৃতি হাতে করে
লাইটারে দেই চাপ।
গভীর করে বুকে টেনে নেই
হারিয়ে যাওয়া
সুখ পোড়ানো তাপ।
তারপর শুধু ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাওয়া
ছাই হয়ে শুধু পড়ে পড়ে যাওয়া
তারপরও তো যায়না মিলিয়ে
কার দেয়া সেই শাপ।
তোমার কথা ভাবাটা কি
আমার কোন পাপ?
কেন?
আমি চলব অন্য পথে
জানি যাবে না আমার সাথে
তবুও কেন তোমার দিকে অপলক চেয়ে থাকি?
তুমি চলবে তোমার মত
এই পরিচয় হবে গত
জেনেও কেন দিনরাত শুধু তোমার কথাই ভাবি?
জানি যাবে না আমার সাথে
তবুও কেন তোমার দিকে অপলক চেয়ে থাকি?
তুমি চলবে তোমার মত
এই পরিচয় হবে গত
জেনেও কেন দিনরাত শুধু তোমার কথাই ভাবি?
Tuesday, October 6, 2009
একেলা - ১
মাঝ রাত, জেগে আছি, ঘুম চোখে আসেনা
ঘুমপাখি, উড়ে গেছে, নীড়ে আর ফেরে না।
কেন গেছে, কোথা গেছে, কিযে তার বেদনা,
সেই জানে, আর ও জানে, আর কেউ জানেনা।
পাটক্ষেত, কাছে টানে, আর টানে, নীল ঢেউ
বাতাসেতে, খোলা চুলে, কাছে টানে, আরও কেউ।
এত টান, তবু দূর, কতো দূর, জানি না
কিযে ভাষা, কিযে দেশ, আপনার কেউ না।
পরবাসী, পরদেশী, দুয়ে দুই, মেলে না
বরফের, দূর দেশে, আজও তাই, একেলা।
-------
লাইমেন, ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৭
ঘুমপাখি, উড়ে গেছে, নীড়ে আর ফেরে না।
কেন গেছে, কোথা গেছে, কিযে তার বেদনা,
সেই জানে, আর ও জানে, আর কেউ জানেনা।
পাটক্ষেত, কাছে টানে, আর টানে, নীল ঢেউ
বাতাসেতে, খোলা চুলে, কাছে টানে, আরও কেউ।
এত টান, তবু দূর, কতো দূর, জানি না
কিযে ভাষা, কিযে দেশ, আপনার কেউ না।
পরবাসী, পরদেশী, দুয়ে দুই, মেলে না
বরফের, দূর দেশে, আজও তাই, একেলা।
-------
লাইমেন, ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৭
তুমি অপরের, আমি জানতাম, ভালবাসলাম তবু তোমাকে
বৃষ্টিতেই কেবল ঝরবে আমার অশ্রু
রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে রক্ত হয়ে ক্ষরবে তারা পাথরচাপা বুকের ভেতরে।
তুমি অন্যের জানি বলেই তোমাকে কখনো বলবো না।
বল্লেই বা কি?
ভিখারী এই ভিনদেশীকে তুমি কখনোই কি ভালবাসতে?
অনিশ্চিত কষ্টগুলোকে তাই লুকিয়ে রাখবো বুকের খুব ভেতরে
চিনচিনে ব্যাথাটাকে দমিয়ে রাখব না হয় কোন পেইনকিলারে।
কখ্খনো বলব না তোমাকে আমার কষ্টের কারণ
আমাকে অপমান করে আরও কষ্টের জন্ম আমি দিতে দেবোনা।
তাইতো বৃষ্টিকেই কামনা করি আমি
ও এলেই কষ্টগুলোকে ঝরিয়ে দেব
কেউ জানবে না, তুমিও না।
----
লাইমেন, ১২,০৯,২০০৭
আহা-র "ক্রায়িং ইন দ্যা রেইন" দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং নিজের কষ্টের কারণে লিখিত।
শিরোনামখানা শিবাজী চট্টোপাধ্যায়ের একটি গান হতে নেয়া।
http://www.somewhereinblog.net/blog/borofblog/28730888
রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে রক্ত হয়ে ক্ষরবে তারা পাথরচাপা বুকের ভেতরে।
তুমি অন্যের জানি বলেই তোমাকে কখনো বলবো না।
বল্লেই বা কি?
ভিখারী এই ভিনদেশীকে তুমি কখনোই কি ভালবাসতে?
অনিশ্চিত কষ্টগুলোকে তাই লুকিয়ে রাখবো বুকের খুব ভেতরে
চিনচিনে ব্যাথাটাকে দমিয়ে রাখব না হয় কোন পেইনকিলারে।
কখ্খনো বলব না তোমাকে আমার কষ্টের কারণ
আমাকে অপমান করে আরও কষ্টের জন্ম আমি দিতে দেবোনা।
তাইতো বৃষ্টিকেই কামনা করি আমি
ও এলেই কষ্টগুলোকে ঝরিয়ে দেব
কেউ জানবে না, তুমিও না।
----
লাইমেন, ১২,০৯,২০০৭
আহা-র "ক্রায়িং ইন দ্যা রেইন" দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং নিজের কষ্টের কারণে লিখিত।
শিরোনামখানা শিবাজী চট্টোপাধ্যায়ের একটি গান হতে নেয়া।
http://www.somewhereinblog.net/blog/borofblog/28730888
ভুল
ওটাই প্রথম ভুল।
মুগ্ধ চোখে অপলক চেয়ে
দেখেছি কেবল সব ভুলে গিয়ে
কালবৈশাখী হার মানানো
পাগল করা সে চুল।
মুগ্ধ চোখে অপলক চেয়ে
দেখেছি কেবল সব ভুলে গিয়ে
কালবৈশাখী হার মানানো
পাগল করা সে চুল।
Monday, October 5, 2009
মিথ্যে ঘুড়ি (মূল ভার্সন)
একটা সুতো ছিড়ে যাওয়া
লাল ঘুড়ির পেছনে ঘুরে
বিকেলের পর বিকেল
সন্ধ্যার পর সন্ধ্যা দৌড়ে
আমি কখন যে সব চেনা মাঠ ঘাট পেড়িয়ে চলে এসেছি
অচেনা নতুন ভূবনে,
একবারও খেয়াল করিনি।
অথচ আমি চাইলে খুব সহজেই
নতুন সুতো আর নতুন ঘুড়ি
কিনে নিতে পারতাম পাড়ার দোকান থেকে
আমার শূন্য নাটাই কবেই ভরে নিতে পারতাম
ঠিক একই রকম একটা লাল ঘুড়িতে।
কিন্তু আমার আকর্ষণ কেবল ঐ ঘুড়িটার প্রতি
তাই সব ভুলে আমি কেবল ছুটি আর ছুটি।
ভয় হয়, হয়তো এখানে সেখানে উড়তে উড়তে
শেষ পর্যন্ত ঘুড়িটা আবার ফিরে যাবে পুরনো নাটাইয়ে।
আমি তখন শূন্য হাতে একা বসে থাকবে
অচেনা শহরের নীরব মাঠের এক প্রান্তে।
লাল ঘুড়ির পেছনে ঘুরে
বিকেলের পর বিকেল
সন্ধ্যার পর সন্ধ্যা দৌড়ে
আমি কখন যে সব চেনা মাঠ ঘাট পেড়িয়ে চলে এসেছি
অচেনা নতুন ভূবনে,
একবারও খেয়াল করিনি।
অথচ আমি চাইলে খুব সহজেই
নতুন সুতো আর নতুন ঘুড়ি
কিনে নিতে পারতাম পাড়ার দোকান থেকে
আমার শূন্য নাটাই কবেই ভরে নিতে পারতাম
ঠিক একই রকম একটা লাল ঘুড়িতে।
কিন্তু আমার আকর্ষণ কেবল ঐ ঘুড়িটার প্রতি
তাই সব ভুলে আমি কেবল ছুটি আর ছুটি।
ভয় হয়, হয়তো এখানে সেখানে উড়তে উড়তে
শেষ পর্যন্ত ঘুড়িটা আবার ফিরে যাবে পুরনো নাটাইয়ে।
আমি তখন শূন্য হাতে একা বসে থাকবে
অচেনা শহরের নীরব মাঠের এক প্রান্তে।
মিথ্যে ঘুড়ি
(এটি মূলত মিথ্যে ঘুড়ি-র পরিবর্তিত ভার্সন। মূল কথা একই, শুধু ছন্দ যোগ করা হয়েছে)
সুতো ছিড়ে যাওয়া লালচে একটা ঘুড়ির পেছনে ঘুরে
আমি চলে গেছি চেনা পথ ছেড়ে অনেক অনেক দূরে।
বিকেলের পর বিকেল আর সন্ধ্যার পর সন্ধ্যা
তার পিছে ছুটে হয়েছে আমার আর সব কাজ বন্ধ্যা।
এখানে সেখানে বাতাসের সাথে দিক বদলায় ঘুড়ি
আমিও সাথে পথ বদলে তারই সাথে সাথে ঘুরি।
যত দূর যাও যেখানেই যাও একলা হবেনা তুমি
যতদিন তুমি একলা রয়েছ সঙ্গে রয়েছি আমি।
আমার এ কথা বুঝতে পারেনা অবুঝ হৃদয় ঘুড়ি
উল্টো হাওয়ায় পিছু ফিরে যায় এখন আমি কি করি।
পুরনো নাটাই সেখানেই যদি যাবার ইচ্ছে ছিল
এতটা পথ আমায় কেন পিছু পিছু নিয়ে এল।
আর কখনো পিছু নেবনা হারানো এমন ঘুড়ির
কষ্ট পেয়েছে অবুঝ হৃদয় ক্লান্ত হয়েছে শরীর।
শূন্য নাটাই আমি বসে রই একলা মাঠের প্রান্তে
অনেক সময় ব্যয় করেছি মিথ্যে ঘুড়িকে জানতে।
সুতো ছিড়ে যাওয়া লালচে একটা ঘুড়ির পেছনে ঘুরে
আমি চলে গেছি চেনা পথ ছেড়ে অনেক অনেক দূরে।
বিকেলের পর বিকেল আর সন্ধ্যার পর সন্ধ্যা
তার পিছে ছুটে হয়েছে আমার আর সব কাজ বন্ধ্যা।
এখানে সেখানে বাতাসের সাথে দিক বদলায় ঘুড়ি
আমিও সাথে পথ বদলে তারই সাথে সাথে ঘুরি।
যত দূর যাও যেখানেই যাও একলা হবেনা তুমি
যতদিন তুমি একলা রয়েছ সঙ্গে রয়েছি আমি।
আমার এ কথা বুঝতে পারেনা অবুঝ হৃদয় ঘুড়ি
উল্টো হাওয়ায় পিছু ফিরে যায় এখন আমি কি করি।
পুরনো নাটাই সেখানেই যদি যাবার ইচ্ছে ছিল
এতটা পথ আমায় কেন পিছু পিছু নিয়ে এল।
আর কখনো পিছু নেবনা হারানো এমন ঘুড়ির
কষ্ট পেয়েছে অবুঝ হৃদয় ক্লান্ত হয়েছে শরীর।
শূন্য নাটাই আমি বসে রই একলা মাঠের প্রান্তে
অনেক সময় ব্যয় করেছি মিথ্যে ঘুড়িকে জানতে।
রায়
শুধু একবার সময় দাও
আমি সারা রাত ধরে শোনাব ৬০টি কবিতা।
গত দুটি মাস ধরে তিলে তিলে গড়েছি আমি ওদের
কখনো হৃদয়ে রক্তক্ষরণের বেদনা নিয়ে
কখনো ঝরনা ধারার মত ছন্দময় হাসির সুখ নিয়ে।
শুধু একটি কন্ঠে
শুধু একজন শ্রোতার জন্য
শুধু একবারই আবৃত্তি করা হবে ওদের।
সেই রাতের পর
তুমি সিদ্ধান্ত নেবে
এই কবিতাগুলো বেঁচে থাকবে কিনা।
তুমি চাইলে
তাদের মৃত্যুদন্ড দিতে পার,
দেশলাইয়ের আগুনে পুড়ে
আমি নিজ হাতে তোমার রায়
কার্যকর করবো।
আর তোমার দয়া হলে,
ওদের জন্য তোমার করুণা হলে
তুমি ওদের আশ্রয় দিতে পার একজন প্রেমিকার হৃদয়ে,
যতদিন তুমি চাইবে, ওরা থাকবে।
তোমার স্মৃতির ঘরে সুখের আধার হয়ে
তোমার নির্জন সময়ের সাথী হয়ে
ওরা চিরটাকাল থাকবে শুধু তোমার জন্য।
আমার কবিতাগুলো তৈরি।
তোমার কখন সময় হবে, বলো,
আমি সারা রাত ধরে শোনাব ৬০টি কবিতা।
আমি সারা রাত ধরে শোনাব ৬০টি কবিতা।
গত দুটি মাস ধরে তিলে তিলে গড়েছি আমি ওদের
কখনো হৃদয়ে রক্তক্ষরণের বেদনা নিয়ে
কখনো ঝরনা ধারার মত ছন্দময় হাসির সুখ নিয়ে।
শুধু একটি কন্ঠে
শুধু একজন শ্রোতার জন্য
শুধু একবারই আবৃত্তি করা হবে ওদের।
সেই রাতের পর
তুমি সিদ্ধান্ত নেবে
এই কবিতাগুলো বেঁচে থাকবে কিনা।
তুমি চাইলে
তাদের মৃত্যুদন্ড দিতে পার,
দেশলাইয়ের আগুনে পুড়ে
আমি নিজ হাতে তোমার রায়
কার্যকর করবো।
আর তোমার দয়া হলে,
ওদের জন্য তোমার করুণা হলে
তুমি ওদের আশ্রয় দিতে পার একজন প্রেমিকার হৃদয়ে,
যতদিন তুমি চাইবে, ওরা থাকবে।
তোমার স্মৃতির ঘরে সুখের আধার হয়ে
তোমার নির্জন সময়ের সাথী হয়ে
ওরা চিরটাকাল থাকবে শুধু তোমার জন্য।
আমার কবিতাগুলো তৈরি।
তোমার কখন সময় হবে, বলো,
আমি সারা রাত ধরে শোনাব ৬০টি কবিতা।
Wednesday, September 30, 2009
বুঝেও বুঝি না কেন
এখনো বুঝিনি তোমার খেলার ধারা
কোন ফাঁদে যে ফেলবে আমায়
করবে সর্বহারা।
কখনো কখনো এমন হাস
মনে হয় যেন সত্যি বাস
একটু ভাল, হয়তো তুমি
আমার যেমন চাওয়া।
তারপরেতেই নীরবতা
অবজ্ঞা আর অবহেলা
ইচ্ছে করেই সারাদিনের
প্রাপ্তি কর হাওয়া।
কেমন করে এমন কর
অদ্ভুত এই খেলা খেল
আলোয় ভরা আকাশে আন
কাল মেঘের মেলা।
আমারই যে হলো কিবা
সব ফেলে রোজ সন্ধ্যাবেলা
বসে থাকি জমবে কখন
সেই মনোহর খেলা।
যখনই ভাবি একটু কাছে
যাবার বুঝি আশা আছে
তখনই এক বিদঘুটে কি
অতীত গল্প বল।
জাননা তুমি তোমায়
আমি পবিত্রতার আলোয় আঁকি
আঁধার কালের গল্পে তুমি
আমায় কেন জ্বাল?
মন ভেঙ্গে দাও বারেবারে
ডোবাও ভাসাও অন্ধকারে
কি আনন্দ পাও তুমি
এই পূজারীরে অবহেলে?
জানি একদিন সব থামাবে
মথ ওড়াবে পেঁচা নামাবে,
যেদিন আমায় শেষ করবে
শেষ চালটি চেলে।
সব জেনে সব বুঝে আমি
হঠাৎ যেন একটু থামি,
পরক্ষনেই আবার চলি তোমার পানে ছুটে
হায় অদৃশ্য, কি আছে ললাটে!
-------------------------
বুঝেও বুঝি না কেন
বায়েজীদ
ফিলিংগেন, ৩০/০৯/২০০৯ ১৭:৫২
কোন ফাঁদে যে ফেলবে আমায়
করবে সর্বহারা।
কখনো কখনো এমন হাস
মনে হয় যেন সত্যি বাস
একটু ভাল, হয়তো তুমি
আমার যেমন চাওয়া।
তারপরেতেই নীরবতা
অবজ্ঞা আর অবহেলা
ইচ্ছে করেই সারাদিনের
প্রাপ্তি কর হাওয়া।
কেমন করে এমন কর
অদ্ভুত এই খেলা খেল
আলোয় ভরা আকাশে আন
কাল মেঘের মেলা।
আমারই যে হলো কিবা
সব ফেলে রোজ সন্ধ্যাবেলা
বসে থাকি জমবে কখন
সেই মনোহর খেলা।
যখনই ভাবি একটু কাছে
যাবার বুঝি আশা আছে
তখনই এক বিদঘুটে কি
অতীত গল্প বল।
জাননা তুমি তোমায়
আমি পবিত্রতার আলোয় আঁকি
আঁধার কালের গল্পে তুমি
আমায় কেন জ্বাল?
মন ভেঙ্গে দাও বারেবারে
ডোবাও ভাসাও অন্ধকারে
কি আনন্দ পাও তুমি
এই পূজারীরে অবহেলে?
জানি একদিন সব থামাবে
মথ ওড়াবে পেঁচা নামাবে,
যেদিন আমায় শেষ করবে
শেষ চালটি চেলে।
সব জেনে সব বুঝে আমি
হঠাৎ যেন একটু থামি,
পরক্ষনেই আবার চলি তোমার পানে ছুটে
হায় অদৃশ্য, কি আছে ললাটে!
-------------------------
বুঝেও বুঝি না কেন
বায়েজীদ
ফিলিংগেন, ৩০/০৯/২০০৯ ১৭:৫২
সপ্তাহান্তে চন্দ্রালোকে
সপ্তাহান্তে একবার ছাদে এসো
তোমাকে আমি জোছনা দেখাব।
জানি জোছনা তোমাকে আগের মত টানে না
নির্ঘুম রাত কাটাও তুমি পুরনো স্মৃতি ঘেটে
জানি বিশ্বাস হারিয়ে আজ তুমি নিঃস্বপ্রায়
আমি কি কিছু করতে পারি তোমার জন্যে?
একবার তুমি চন্দ্রালোকে এসো
আমি তোমাকে শেখাব
নিষ্পলক চাঁদের দিকে তাকিয়ে থেকে
কিভাবে জোয়ার আনা যায় নিশ্চল চোখে।
সেই জোয়ারে ডুবাতে পারো কষ্টগুলো
অথবা ভাসাতে পার নতুন স্বপ্নের ভেলা।
সপ্তাহান্তে একবার ছাদে এলে
আমি তোমাকে জোছনা ঠিকই দেখাব।
সেল ফোনটা সাথে এনো প্লিজ তুমি
হয়তো তোমাকে নতুন কিছু শোনাব।
--------------------
সপ্তাহান্তে চন্দ্রালোকে
বায়েজীদ
ফিলিংগেন, ২৯/০৯/২০০৯
তোমাকে আমি জোছনা দেখাব।
জানি জোছনা তোমাকে আগের মত টানে না
নির্ঘুম রাত কাটাও তুমি পুরনো স্মৃতি ঘেটে
জানি বিশ্বাস হারিয়ে আজ তুমি নিঃস্বপ্রায়
আমি কি কিছু করতে পারি তোমার জন্যে?
একবার তুমি চন্দ্রালোকে এসো
আমি তোমাকে শেখাব
নিষ্পলক চাঁদের দিকে তাকিয়ে থেকে
কিভাবে জোয়ার আনা যায় নিশ্চল চোখে।
সেই জোয়ারে ডুবাতে পারো কষ্টগুলো
অথবা ভাসাতে পার নতুন স্বপ্নের ভেলা।
সপ্তাহান্তে একবার ছাদে এলে
আমি তোমাকে জোছনা ঠিকই দেখাব।
সেল ফোনটা সাথে এনো প্লিজ তুমি
হয়তো তোমাকে নতুন কিছু শোনাব।
--------------------
সপ্তাহান্তে চন্দ্রালোকে
বায়েজীদ
ফিলিংগেন, ২৯/০৯/২০০৯
Saturday, September 12, 2009
সবুজের মাঝে লাল তোমাকে
পাহাড়ের গা ছোঁয়া একটা সবুজ মাঠের মাঝখানে
লাল শাড়ি পড়া তোমাকে বসিয়ে
চূড়া থেকে একটা ছবি তুলব তোমার।
ফটোশপে ছবির একটা অংশ কেটে নেব,
যেন আমার প্রিয় দেশের পতাকার মত মনে হয়
তোমার ছবিটা।
সেই ছবিটা আমার দেয়ালে টাঙ্গাব বিজয় দিবসের সকালে
এক ঐতিহাসিক বিজয় আনন্দের সাথে যোগ হবে
এক ব্যক্তিগত বিজয়ের গভীরতম আবেগ।
সেই আনন্দে আমি হাসব, সেই আবেগে আমি কাঁদব
যত দূরেই সেদিন তুমি থাক না কেন,
সবচেয়ে কাছে তুমি আছ বলেই সেদিন ভাবব।
লাল শাড়ি পড়া তোমাকে বসিয়ে
চূড়া থেকে একটা ছবি তুলব তোমার।
ফটোশপে ছবির একটা অংশ কেটে নেব,
যেন আমার প্রিয় দেশের পতাকার মত মনে হয়
তোমার ছবিটা।
সেই ছবিটা আমার দেয়ালে টাঙ্গাব বিজয় দিবসের সকালে
এক ঐতিহাসিক বিজয় আনন্দের সাথে যোগ হবে
এক ব্যক্তিগত বিজয়ের গভীরতম আবেগ।
সেই আনন্দে আমি হাসব, সেই আবেগে আমি কাঁদব
যত দূরেই সেদিন তুমি থাক না কেন,
সবচেয়ে কাছে তুমি আছ বলেই সেদিন ভাবব।
Thursday, February 5, 2009
১৪তারিখ তোকে করি আমি ঘৃণা
১৪তারিখ তোকে করি আমি ঘৃণা
১৪তারিখ তুই আর আসবিনা।
কেউ তোরা আর আমাকে করাসনা মনে
পুরোনো স্মৃতিগুলো খায় পুড়ে পুড়ে।
কেউ আমাকে তোরা আর করাসনে মনে
বছর ঘুরে সেদিনটা আসছে আবার ফিরে।
ভালো লাগেনা দেখতে সেদিন সুখী সুখী মুখ
আমার কেন মনের ভেতর থাকবে শুধু দুখ।
আমিওতো চেয়েছিলাম কাউকে আপন করে
লাজবাব বুঝিয়েছিল, নেই আমার কপালে।
অন্যকারও সাথে ঠিকই আছে অনেক ভাল
আমি কেবল দিনটি কাটাই মুখটি করে কাল।
১৪তারিখ তুই আর আসবিনা।
কেউ তোরা আর আমাকে করাসনা মনে
পুরোনো স্মৃতিগুলো খায় পুড়ে পুড়ে।
কেউ আমাকে তোরা আর করাসনে মনে
বছর ঘুরে সেদিনটা আসছে আবার ফিরে।
ভালো লাগেনা দেখতে সেদিন সুখী সুখী মুখ
আমার কেন মনের ভেতর থাকবে শুধু দুখ।
আমিওতো চেয়েছিলাম কাউকে আপন করে
লাজবাব বুঝিয়েছিল, নেই আমার কপালে।
অন্যকারও সাথে ঠিকই আছে অনেক ভাল
আমি কেবল দিনটি কাটাই মুখটি করে কাল।
Wednesday, February 4, 2009
sms korio, he onuragi
"jote jodi mote ekti taka,
khaddo kinio khudhar lagi.
jote jodi dui, ekti dia sms korio he onuragi."
khaddo kinio khudhar lagi.
jote jodi dui, ekti dia sms korio he onuragi."
আদর আদর সারা বেলা
আদর আদর সারা বেলা
আদর দেবার কালে
আলতো করে আঁকব চুমু
টিপ হয়ে কপালে।
হাত বুলিয়ে মাথায় দেব
আশীর্বাদের আলো
কাঁধে রাখবো ভরসার হাত
থাকিস যেন ভাল।
যেখানে চাস বেড়াতে নেব
হাটি হাটি পায়ে
গান শুনিয়ে মুছে দেব
দুঃখ যত মনে।
সারাটি জীবন যদি পারতাম
রাখতে তোকে পাশে
জানি সেটা হবেনা কভু
যেতেই হবে তোকে।
যেতে হবে আমাকেও
দূর পাহাড়ের দেশে।
তবুও তুই থাকবি আমার
মনের গভীর কোনে।
আদর দেবার কালে
আলতো করে আঁকব চুমু
টিপ হয়ে কপালে।
হাত বুলিয়ে মাথায় দেব
আশীর্বাদের আলো
কাঁধে রাখবো ভরসার হাত
থাকিস যেন ভাল।
যেখানে চাস বেড়াতে নেব
হাটি হাটি পায়ে
গান শুনিয়ে মুছে দেব
দুঃখ যত মনে।
সারাটি জীবন যদি পারতাম
রাখতে তোকে পাশে
জানি সেটা হবেনা কভু
যেতেই হবে তোকে।
যেতে হবে আমাকেও
দূর পাহাড়ের দেশে।
তবুও তুই থাকবি আমার
মনের গভীর কোনে।
Tuesday, February 3, 2009
অনেকদিন দেখিনা আমার শহর
অনেকদিন দেখিনা আমার শহর
প্রাণবন্ত, জমজমাট, এলোমেলো, কোলাহল
অনেকদিন দেখিনা কাল চুলের, সেলোয়ার
কামিজ ওড়না পরা সুন্দরীদের
অনেকদিন খাওয়া হয়না ফুচকা চটপটি
বোরহানী শিক কাবাব মোগলাই
অনেকদিন যওয়া হয়না শাহবাগ
মিরপুর ১০ ফার্মগেট বোর্ডবাজার।
অনেকদিন হাঁটা হয়না ওর পাশে
অনেকদিন কাঁধের স্পর্শে গল্প হয় না
অনেকদিন ফুল হাতে দিতে পারি না ওর
অনেকদিন গল্পে গল্পে করা হয়না ভোর।
আর সইতে পারছিনা অপেক্ষার দিন
দেশে এবার যেতেই হবে আমায়
ঢাকার ফুটপাথের বিক্রেতা, রাস্তার জানজট
বাসের হেলপার, সবাই ঢাকছে, আসুন।
ডিসেম্বরে লম্বা ছুটি নেবো
ফিরে যাবো আবার নিজের ঘরে।
প্রাণবন্ত, জমজমাট, এলোমেলো, কোলাহল
অনেকদিন দেখিনা কাল চুলের, সেলোয়ার
কামিজ ওড়না পরা সুন্দরীদের
অনেকদিন খাওয়া হয়না ফুচকা চটপটি
বোরহানী শিক কাবাব মোগলাই
অনেকদিন যওয়া হয়না শাহবাগ
মিরপুর ১০ ফার্মগেট বোর্ডবাজার।
অনেকদিন হাঁটা হয়না ওর পাশে
অনেকদিন কাঁধের স্পর্শে গল্প হয় না
অনেকদিন ফুল হাতে দিতে পারি না ওর
অনেকদিন গল্পে গল্পে করা হয়না ভোর।
আর সইতে পারছিনা অপেক্ষার দিন
দেশে এবার যেতেই হবে আমায়
ঢাকার ফুটপাথের বিক্রেতা, রাস্তার জানজট
বাসের হেলপার, সবাই ঢাকছে, আসুন।
ডিসেম্বরে লম্বা ছুটি নেবো
ফিরে যাবো আবার নিজের ঘরে।
Tuesday, January 27, 2009
তাহাদের পাশে লয়ে কাটে যেন বাকিটা জীবন
যাহাদের ভালবাসি, যাহাদের লাগি পরাণ কাঁদে
তাহাদের পাশে লয়ে কাটে যেন বাকিটা জীবন।
সকাল সন্ধ্যা বাইরে কাটাই
ঘরে ফিরে যেন দেখি প্রিয় মুখগুলো,
একটু যেন গল্প করতে পারি রাত বিরাতে,
গীটারের টুং টাং, সাথে কষ্ট ভোলানো গান
গাইতে যেন পারি ওদের সাথে।
এটুকুই প্রার্থনা, খুব বেশী চাইনা,
মাথার উপর একটু ছাদ, ঘরে পেট ভরানো খাবার,
একটু গল্প, একটু গান
মায়ের স্নেহ, বোনের সোহাগ, বাবার পরামর্শ আর ভাইয়ের গল্প
এসব নিয়েই আমি থাকতে চাই।
জীবনের বাকি সব চাওয়াকে আজ অর্থহীন মনে হয়,
কি পেয়েছি কি পাইনি সেই হিসাব করতেও আর ইচ্ছে হয় না।
হে বিধাতা, তুমি কি জানতেনা এই অল্প কিছু চাওয়াই,
আরও অনেক মানুষের মত এই অল্প কিছু চাওয়াই আমার সবচেয়ে বড় সব চাওয়া হয়ে দাড়াবে?
তাহলে এই চাওয়াগুলো পূরন করার কোন সুযোগ আমাকে তুমি দেবে না?
তাহাদের পাশে লয়ে কাটে যেন বাকিটা জীবন।
সকাল সন্ধ্যা বাইরে কাটাই
ঘরে ফিরে যেন দেখি প্রিয় মুখগুলো,
একটু যেন গল্প করতে পারি রাত বিরাতে,
গীটারের টুং টাং, সাথে কষ্ট ভোলানো গান
গাইতে যেন পারি ওদের সাথে।
এটুকুই প্রার্থনা, খুব বেশী চাইনা,
মাথার উপর একটু ছাদ, ঘরে পেট ভরানো খাবার,
একটু গল্প, একটু গান
মায়ের স্নেহ, বোনের সোহাগ, বাবার পরামর্শ আর ভাইয়ের গল্প
এসব নিয়েই আমি থাকতে চাই।
জীবনের বাকি সব চাওয়াকে আজ অর্থহীন মনে হয়,
কি পেয়েছি কি পাইনি সেই হিসাব করতেও আর ইচ্ছে হয় না।
হে বিধাতা, তুমি কি জানতেনা এই অল্প কিছু চাওয়াই,
আরও অনেক মানুষের মত এই অল্প কিছু চাওয়াই আমার সবচেয়ে বড় সব চাওয়া হয়ে দাড়াবে?
তাহলে এই চাওয়াগুলো পূরন করার কোন সুযোগ আমাকে তুমি দেবে না?
Subscribe to:
Posts (Atom)